প্রফেশনালদের জন্যে ভিডিও তৈরি—
বলা হয়ে থাকে, একটি ছবি হাজার শব্দের চেয়েও শক্তিশালী। তাহলে একটি ভিডিও কি হাজার ছবির চাইতে শক্তিশালী হয়ে উঠতে পারে না?
প্রযুক্তির এই যুগে ভিডিও কনটেন্টই সবচেয়ে শক্তিশালী প্রচার মাধ্যম। এই যেমন ডা. জাহাঙ্গীর কবির বা সোলায়মান সুখনেরই কথা। চিকিৎসক তো অনেকেই আছেন বা কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানের সর্বোচ্চ পজিশনে তো অনেকেই চাকরি করছেন। কিন্তু ডা. জাহাঙ্গীর কবির বা সোলায়মান সুখন কেন আলোচনায় থাকেন? এর কারণ পার্সোনাল ব্র্যান্ডিং। নিজস্ব পরিশীলিত ভাবনা-চিন্তা, গঠনমূলক আলোচনা-সমালোচনা ও সর্বোপরি নিজেকে মানুষের সামনে মেলে ধরতে ভিডিও কনটেন্ট তৈরির মধ্য দিয়ে নিজের ব্যক্তিত্বের প্রতিষ্ঠার কারণেই তারা আজ এতোটা পরিচিত।
কিন্তু ভিডিও তৈরির ব্যাপারে অনেক প্রফেশনাল-ই অনীহা প্রকাশ করেন। তাদের কারণগুলোও যুক্তিসংগত ।
প্রথমত, ভিডিও তৈরি করা একটি স্ট্যাটাস বা ছবির চেয়ে জটিল । স্ট্যাটাস শুধু টেক্সট লিখলেই কাজ শেষ।
ছবির ক্ষেত্রে, ছবি এবং ক্যাপশন লাগে। ছবিটি তোলার সময় ভালো লাইটিং লাগে, ভালো ক্যামেরা লাগে। এডিটিং অ্যাপগুলো সহজে ব্যবহার করা যায়। কিন্তু ভিডিওর ক্ষেত্রে – স্ক্রিপ্ট, ক্যামেরা, ট্রাইপড, লাইট, এডিটিং সফটওয়্যার, থাম্বনেইলের ফটো, থাম্বনেইলে কী টেক্সট থাকবে (কপি), ক্যাপশন অনেক কিছু! কিন্তু এটা অস্বীকার করার উপায় নেই যে, ফেসবুকের মতো প্ল্যাটফর্মে ভিডিও যত রিচ পায়, অর্থাৎ মানুষের কাছে পৌঁছায়, ছবি বা স্ট্যাটাস সাধারণত তত রিচ পায় না। এবং ভিডিওর মাধ্যমে মানুষকে দ্রুত কনভিন্স করা যায় ।
সমাধান?
আসলে, সবার জন্যেই ভিডিও দিতে হবে, ব্যাপারটা এমন না। আরিফ আর হোসাইন শুধু স্ট্যাটাস লিখেই বহুল পরিচিত। আপনাকে নিজের স্ট্রেংথ বুঝে প্ল্যাটফর্ম ঠিক করতে হবে।
ভিডিও প্রোডাকশনের খরচ এড়াতে আপনি ফেসবুক লাইভ ফিচার ব্যবহার করতে পারেন। তখন আর এডিটিংয়ের কষ্ট হবে না। তবে, ভিডিও এবং অডিও কোয়ালিটি একটু কম হবে।
নিজেই খরচ করে ভিডিও বানানোর আগে আপনার নেটওয়ার্কে কারা ভিডিও বানিয়ে থাকে, তাদের খোঁজ নিন। তাদের সাথে আপনার পার্সোনাল ব্র্যান্ডের ভ্যালুজ মিললে, তাদের সাথে ভিডিও বানাতে পারেন। প্রফেশনাল প্রডাকশন হাউজের মাধ্যমে অনেক শিক্ষক, প্রশিক্ষক ও করপোরেট ব্যক্তিত্বই ভিডিও তৈরি করেছেন এবং নিজেদের অনলাইন উপিস্থিতি সমৃদ্ধ করেছেন।
যদি আপনি খরচ করে ভিডিও তৈরি করতে চান, আপনার নেটওয়ার্কে এড এজেন্সির বন্ধু নিশ্চয়ই আছে। তাদের থেকে ছোট প্রোডাকশন হাউজের খোঁজ নিয়ে, বাজেট সম্পর্কে জানতে পারেন। যেহেতু ক্যামেরা ও অন্যান্য ইকুইপমেন্ট ভাড়া করতে হয়, তাই ব্লক শুটিং করুন। অর্থাৎ, এক দিনের জন্যে ৪-৫টি ভিডিও প্ল্যান করে নিয়ে যান এবং সেদিনই শুটিং করে ফেলুন। এটা সাশ্রয়ী অপশন ।
কারো কারো ক্যামেরা ভীতি আছে, কিন্তু ভিডিও বানানোর আগ্রহও আছে। তাদের জন্য পরামর্শ – নিজের ক্যামেরায় প্র্যাকটিস করে নিন। প্রতিদিন ৫ মিনিট সময় নিয়ে ভিডিওতে যা বলতে চান, বলুন। এরপর ভিডিও দেখে রিভিউ করুন। ১-২ মাস নিয়মিত করলে, আপনার জড়তা অনেক কমে আসবে।
এর বাইরেও একটি বিকল্প পথ হিসেবে রয়েছে ‘স্টুডিও উই’। ‘স্টুডিও উই’ সাধ্যের মধ্যে ভিডিও তৈরির একটি প্রতিষ্ঠান। আপনি যদি একজন উদ্যোক্তা হয়ে থাকেন বা আপনি যদি আপনার নিজস্ব ভাবনাকে মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে চান পাশাপাশি আপনার পার্সোনাল ব্র্যান্ডিং করতে চান ভিডিও কনটেন্টের মধ্য দিয়ে তাহলে আমাদের সঙ্গে নির্দ্বিধায় যোগাযোগ করতে পারেন। সমাগত উত্তর-আধুনিক যুগে তাল মিলিয়ে চলার মত সকল ধরণের কারিগরি ও শৈল্পিক সহায়তা দিতে ‘স্টুডিও উই’ বদ্ধপরিকর। আগামী বিশ্ব হতে চলেছে টেকনোলজি ও ভার্চুয়াল বিশ্ব। আপনি প্রস্তুত তো?
স্টুডিও উই এর সঙ্গে যোগাযোগ করুন:
ফোন: ০১৭১৭৪৩৪৯৬৮
ইমেইল: studiowee.xyz@gmail.com
ওয়েবসাইট: www.studio-wee.com
অফিস: ৩৮১, দক্ষিণ কাফরুল, ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট।