যেভাবে বই বিক্রি বাড়ানো যেতে পারে
০১। বই নিয়ে ছোটো ছোটো ভিডিও কনটেন্ট তৈরি করতে হবে। ভিডিওগুলো ইউটিউব প্ল্যাটফর্মে প্রচার করতে হবে।
০২। মূলত লেখকের বক্তব্য শুনলে মানুষ বই কিনতে আগ্রহী হয় বেশি। বইটি কী নিয়ে লেখা, কার জন্য লেখা, বইটি পড়লে কী শিখতে পারবে ইত্যাদি বিষয় যদি লেখক গুছিয়ে বলতে পারেন তাহলে পাঠক বা ক্রেতা বইটি কিনতে আগ্রহী হবে।
৩। বইটি নিয়ে ছোটো ছোটো রিভিউ লিখতে হবে। রিভিউগুলো সোশ্যাল মিডিয়া বা বিভিন্ন অনলাইন ও প্রিন্ট মিডিয়ায় প্রকাশ করতে হবে। অথবা প্রকাশনীর নিজস্ব ওয়েবসাইটে ব্লগ আকারে প্রকাশ করতে হবে। ওয়েবসাইটের লিঙ্ক বিভিন্ন গ্রুপে বা পেজে শেয়ার করতে হবে। সেখান থেকে ক্রেতা আসবে।
০৪। বই নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ার বিভিন্ন গ্রুপে প্রতিযোগিতার আয়োজন করা যেতে পারে। সেখান থেকে আগ্রহী হয়ে ক্রেতা বই কিনবে।
০৫। প্রতিদিন তথ্যমূলক গ্রাফিক পোস্ট সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করা যেতে পারে। সেখানে বই ক্রয়ের ওয়েবসাইটের লিঙ্ক দিতে হবে।
০৬। অর্গানিক রিচের পাশাপাশি পেইড রিচ বা বুস্টিং করা যেতে পারে। বুস্টিং এ টার্গেট কাস্টমার লক্ষ্য করে বুস্ট করতে হবে।
০৭। বুস্টিং এ লুক এ এলাইক কাস্টমার ডাটাবেস ব্যবহার করতে হবে। রিটার্গেট এড ব্যবহার করতে হবে।
০৮। ওয়েবসাইট, ফেসবুক বা ইউটিউবকে সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন (এসইও) করতে হবে। কেউ যেন কোনো তথ্যের জন্য সার্চ দিলে সবার আগে প্রকাশনীর ওয়েবসাইট বা ইউটিউব বা ফেসবুক ইউআরএল চলে আসে সেজন্য এসইওর প্রয়োজন।
০৯। সোশ্যাল মিডিয়ার অন্যান্য প্ল্যাটফর্ম যেমন টুইটার, ইনস্টগ্রাম, থ্রেড বা হোয়াট্স অ্যাপ ব্যবহার করে লিড বাড়াতে হবে।
১০। ফেসবুকের পাশাপাশি ওয়েবসাইট ও ইউটিউব বুস্টিং করতে হবে। ব্র্যান্ডিং এর জন্য সবসময় পেইড রিচ বাড়াতে হবে।
১১। বর্তমানে রিল/ইউটিউব শর্টস বহুল প্রচলিত। বইগুলোর অল্পস্বল্প তথ্য দিয়ে শর্টস ভিডিও বানাতে হবে।
১২। ওয়েবসাইটকে ফেসবুকের সঙ্গে কানেক্ট করতে হবে। পিক্সেল ব্যবহারের মাধ্যমে ওয়েবসাইটের (বুক শপ) সব বই ফেসবুকে দেখাতে হবে। তাহলে ক্রেতা সহজেই ওয়েবসাইটের মাধ্যমে বই কিনতে অভ্যস্ত হবে।
১৩। বই নিয়ে ছোটোদের মতামত/ভিডিও রিভিউ বানাতে হবে।
১৪। সর্বোপরি বই পড়ার লাভজনক দিক নিয়ে বেশি বেশি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে অর্গানিক রিচ বাড়াতে হবে।